স্বদেশ ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে কারাগারে আইনজীবী এবং পরিবারের কোনো সদস্য আপাতত দেখা করতে পারছেন না। মুঠোফোনেও তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। মুঠোফোনে যোগাযোগ করার সুযোগ চেয়ে গতকাল আসামিপক্ষ আবেদন করলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ডিআইজি প্রিজনের রেফারেন্সে কারা কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি আদালতে পৌঁছলে আদালত কারাবিধি অনুসরণ করে প্রদীপের সঙ্গে তার আত্মীয়স্বজন এবং আইনজীবী কাউকে দেখা না করার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ জারি করেন। করোনার কারণে প্রদীপের সঙ্গে কোনো আইনজীবী এবং আত্মীয়স্বজন স্বাভাবিক সময়ের মতো সাক্ষাৎ আপাতত বন্ধ রাখার জন্য চিঠি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠি আদালতে উপস্থাপন করা হলে মহানগর দায়রা জজ আদালত কারাবিধি অনুসরণ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেন।
দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সন্ত্রাসী, হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের যে নীতি রয়েছে, প্রদীপের ক্ষেত্রেও একই নীতি বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
প্রদীপের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, করোনার কারণে পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীদের সঙ্গে প্রদীপের দেখা করার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা কারা বিধি মেনে তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের আবেদন করেছিলাম। তবে অন্য আদালতে তার বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা চলমান থাকায় আদালত তা মঞ্জুর করেননি। আমরা চিকিৎসার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছিলাম, আদালত যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণে আগের আদেশ বহাল রেখেছেন।
দুদকের দায়ের করা মামলায় শুনানির জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রদীপ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। গত ২৩ আগস্ট সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।